ফিলিস্তিনী বন্দীদের জন্য আপত্তিকর বিষয় নিয়ে নির্মিত একটি চলচ্চিত্রকে পর্দায় নিষিদ্ধ করেছে জর্ডান। ‘আমিরা’ নামের এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে অস্কারে যাওয়ার আশা ছিলো প্রযোজকদের।

‘আমিরা’ নিয়ে ফিলিস্তিন ও মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনার পর বুধবার এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘আমিরা ফিলিস্তিনী বন্দীদের ইতিহাস এবং সংগ্রামকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বিক্ষুব্ধ করে।’

চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্র ১৭ বছর বয়সি ফিলিস্তিনী তরুণী আমিরা। এতে দেখানো হয় তার বাবা ইসরাইলি দখলদারিত্বের কারণে আটক হয়েছিলেন। পরে কারাগার থেকে পাচার করা শুক্রাণুর মাধ্যমে আমিরার জন্ম হয়।

আমিরা যখন বড় হন, তখন তিনি জানতে পারেন তার বাবার বীর্য একজন ইসরায়েলি কারারক্ষীর বীর্য দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। এই তথ্য তার জীবনকে বদলে দিতে থাকে।

ফিলিস্তিনী একটি সূত্রে জানা গেছে, গত এক দশকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে শুক্রাণু পাচারের মাধ্যমে শতাধিক ফিলিস্তিনী শিশুর জন্ম হয়েছে।

ফিলিস্তিন, মিশর এবং জর্ডান তিনটি দেশের প্রযোজক মিলে ‘আমিরা’ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন। চিত্র ধারণ হয় জর্ডানে। চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পায়। তবে দেশ তিনটিতে এর কাহিনী নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় জর্ডান কর্তৃপক্ষ আমিরা প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনী বন্দী এবং প্রাক্তন বন্দী বিষয়ক কমিশনের চেয়ারম্যান কাদরি আবু বকর।

ফিলিস্তিনী অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাংবাদিকরা এর বিরুদ্ধে ‘পুল আউট আমিরা’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলচ্চিত্রটিকে প্রত্যাখ্যান করতে অনলাইন ক্যাম্পেইন করেন।

এখন সময়/শামুমো